টিকটকে পরিচয়ে প্রেম- বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন চীনা তরুণ

Ayas-ali-Advertise
টিকটকে পরিচয়ে প্রেম- বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন চীনা তরুণ
ছবি: বাংলানিউজ২৪
টিকটকে পরিচয়ে প্রেম- বাংলাদেশে এসে বিয়ে করলেন চীনা তরুণ
ছবি: বাংলানিউজ২৪
Facebook
Twitter
WhatsApp

প্রেমের টানে চীন থেকে মাদারীপুরে এসেছেন সিতিয়ান জিং (২৬) নামে এক তরুণ। ২৬ জুলাই তিনি মাদারীপুরে আসেন এবং কনের বাড়িতে ঘরোয়া আয়োজনের মধ্যে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ওই তরুণ শ্বশুরবাড়িতেই আছেন। এ খবর এলাকাবাসীর কাছে পৌঁছালে, তারা এক নজর ভিনদেশি জামাতাকে দেখতে ভিড় জমান ওই বাড়িতে।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার (১৯)। তিনি মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সুমাইয়া তিন বোনের মধ্যে বড়। তার বাবা সাইদুর মুন্সি আড়িয়াল খাঁ নদের খেয়াঘাটের মাঝি। সুমাইয়ার সঙ্গে চীনা নাগরিক সিতিয়ান জিংয়ের পরিচয় ঘটে টিকটক মাধ্যমে। সিতিয়ান চীনের সাং হাই শহরের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টের ব্যবসায়ী। প্রথমে সুমাইয়া সিতিয়ানের টিকটক ভিডিও দেখেন, এরপর ইউটার্চের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়। কিছুদিনের মধ্যে তারা একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন এবং মাত্র চার মাসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরেই ২৪ জুলাই সিতিয়ান চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন।

বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় সিতিয়ান মোবাইল অনুবাদক দিয়ে কথা আদান-প্রদান করেন। ২৬ জুলাই, সুমাইয়া, তার বাবা সাইদুর মুন্সি ও কিছু আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে সিতিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। এরপর ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। সুমাইয়া জানান, তাদের সম্পর্ক টিকটক থেকে শুরু হলেও সিতিয়ানের বাংলাদেশে আসা এবং বিয়ে করা ছিল তার কাছে অবিশ্বাস্য। বর্তমানে তিনি চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সিতিয়ান সুমাইয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করে তাকে নিয়ে যাবেন।

সিতিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে বলেন, “বাংলাদেশে এসেও ভালো লাগছে। তবে গরম খুব বেশি। অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে, আর তাই কিছুটা ভয় লাগছে। তবে আমি সুমাইয়াকে ভালোবেসে এখানে এসেছি।” তিনি জানান, তার পরিবার সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে সমর্থন দিয়েছে।

সুমাইয়ার বাবা সাইদুর মুন্সি বলেন, “সিতিয়ান জিং আমাদের কাছে খুব ভালো, অমায়িক ও অহংকারহীন। আমার মেয়ে তার সঙ্গে চীনে যাবে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়।”

প্রতিবেশী জুলেখা বেগম বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি। সুমাইয়াকে ভালোবেসে ছেলেটি চীন থেকে এসেছেন, এবং চীনে নিয়ে যাবে, এই খবর আমাদের এলাকায় সবাইকে খুব খুশি করেছে।”

পাঁচখোলা ইউনিয়নের সদস্য মো. রুবেল হাওলাদার জানান, “কিছুদিন আগে চীন থেকে এক ছেলে এসে সুমাইয়াকে বিয়ে করেছেন। কিছুদিনের মধ্যে তাকে চীনে নিয়ে যাবেন।”

তথ্য সুত্র: বাংলানিউজ২৪

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪