সিলেটের বিশ্বনাথে এক মাস আগে নিখোঁজ হওয়া গৃহবধূ আছমা খানমের (২৪) কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালালেও তার অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি পুলিশের।
জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে সোহেল আহমদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আছমা খানমের। আছমা দশঘর ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মৃত কদরিছ খানের মেয়ে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই চলছিল। তবে তাদের কোন সন্তান না থাকলেও নিঃসন্তান এ দম্পতি দিন কাটাচ্ছিলেন সুখে। সম্প্রতি বাড়িতে ঘর নির্মাণের কাজ চলায় তারা সাময়িকভাবে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
গৃহবধূর স্বামী সোহেল আহমদ জানান, গত ১৮ নভেম্বর তার বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আছমা। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় ২০ নভেম্বর আছমার বড় বোন ছালিমা খানম বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।
ছালিমা খানম জানান, আছমা নিখোঁজের দিন তাদের বাড়িতে আসার কথা বলে স্বামীর ভাড়া বাসা থেকে বের হন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে না পৌঁছানোয় আছমার স্বামী ফোন করে জানতে চান, তিনি তাদের বাড়িতে এসেছেন কি না। তখন তারা জানান, আছমা সেখানে আসেননি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
স্বামী সোহেল আহমদ আরোও জানান, ঘটনার দুই দিন আগে তার স্ত্রীর বড়বোন ছালিমা খানম তাকে নাইওর আনতে বাসায় আসেন। কিন্তু টাকার সংকটে তিনি স্ত্রীকে যেতে দিতে পারেননি। বড়বোন টাকা ধার দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেননি। ঘটনার আগের দিন রাতে তিনি স্ত্রীকে এক হাজার টাকা দিয়ে পরদিন বাবার বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন সকালে বাবার বাড়ি থেকে লোক এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকায় কাজে চলে যান সোহেল। কিন্তু দুপুরে নিশ্চিত হতে আছমার মোবাইলে কল দিলে তা বন্ধ পান। অনেকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পেরে বাসায় ফিরে দেখেন আছমা বাসায় নেই। পরে বড়বোনকে ফোন করে জানতে পারেন, আছমা বাবার বাড়িতেও যাননি। ঘর থেকে কেবল তিনটি নতুন পোশাক ও মোবাইল ফোন নিয়ে বের হয়েছেন আসমা।
এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর মিয়া জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আছমা খানমের সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরোও পড়ুন:: বিশ্বনাথে মাদকসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার।