সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের একটি সরকারি রাস্তায় মাটি ভরাট সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। রবিবার (১৩ এপ্রিল) দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৫ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত এ অভিযোগপত্র ইউএনওর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর (ধনপুর) গ্রামের আলী মিয়ার বাড়ির পশ্চিম দিক থেকে আবদুল কাদিরের মালিকানাধীন জমি পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ গোপাট রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। এ রাস্তা দিয়ে চাউলধনী হাড়র এলাকা থেকে বৈশাখী মৌসুমে ধান আনেন কৃষকরা ।
রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানের কাছে মাটি ভরাটের আবেদন করেন এলাকাবাসী। পরে ইউপি সদস্যের তত্ত্বাবধানে উক্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়। তবে সম্প্রতি স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, উক্ত রাস্তায় কাউকে না জানিয়ে অবৈধভাবে মাটি ফেলা হয়েছে—যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগে দাবি করেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই রাস্তায় ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনে ব্রিজ থেকে আবদুল কাদিরের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের ইট বসানো ছিল। ইটগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, যাতে পরবর্তীতে মাটি ভরাট শেষে পুনরায় তা বসানো যায়। এছাড়া অভিযোগে দাবি করা হয়, ওয়ার্ডের সদস্য কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ থাকলেও তার প্রচেষ্টায় মোট ১৫০০ ফুট রাস্তার মাটি ভরাট সম্ভব হয়েছে, যেখানে উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ ছিল ১৩০০ ফুট।
অভিযোগপত্রে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:: বিশ্বনাথে কৃষককে মারধরের অভিযোগ, থানায় জিডি।