উন্নত জীবনের আশা কিংবা অভিবাসনের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক চাপ কিংবা জীবনের মানোন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় অনেকেই বাধ্য হয়ে নতুন জীবনের খোঁজে প্রবাসে পাড়ি জমাচ্ছেন। এর মধ্যে ইউরোপের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে স্পেন। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সুযোগ দিচ্ছে স্পেন। শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণ এবং জনসংখ্যার বার্ধক্যজনিত সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রতিবছর তিন লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তাদের এই উদ্যোগ একটি ইতিবাচক নজির স্থাপন করেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পেনের অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী এলমা সেইজ জানিয়েছেন, আগামী তিন বছরে প্রতিবছর প্রায় তিন লাখ করে অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে শ্রমশক্তি বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে এ পদক্ষেপ।
ইতালি ও জার্মানির মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশ যখন সীমান্তে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করছে তখন স্পেন অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে স্বাগত জানাচ্ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।
এলমা সেইজ বলেন, “আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। স্পেনকে একটি উন্মুক্ত সমৃদ্ধ দেশ বা একটি বদ্ধ ও দরিদ্র দেশে পরিণত করা। আমরা উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ দেশের পথ বেছে নিয়েছি। কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন।”
সর্ম্পকিত খবর: ব্রিটেনের ভবন নিরাপত্তার দায়িত্ব ছাড়লেন বিশ্বনাথের রুশনারা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ স্পেন। লাতিন আমেরিকা থেকে দক্ষ অভিবাসীদের আগমন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে যারা প্রযুক্তি ও হসপিটালিটি খাতে কাজ করছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভিবাসননীতিতে সংস্কার আনতে যাচ্ছে স্পেন। চাকরিপ্রত্যাশীদের ভিসার মেয়াদ তিন থেকে ১২ মাস পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও দেওয়া হবে।