নিজস্ব প্রতিবেদক :: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যায় প্লাবিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা। উপজেলার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে গৃহবন্ধী আছেন উপজেলার প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে উপজেলা সদরের সাথে সকল ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। নেই বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এপর্যন্ত উপজেলায় পানিতে ডুবে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১ শিশু কন্যা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার বিকেলে রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল জমশেরপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী তার এক বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নৌকায় করে বাড়িতে ফেরার পথে রামপাশা বাজারের পশ্চিমের হাওরে নৌকা ডুবে যায়। এসময় ওই শিশু কন্যা পানির স্রোতে মায়ের হাত থেকে চলে যায়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমদ (৬০) আশ্রয়কেন্দ্র হতে শশুর বাড়িতে ফেরার পথে পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় মরা সুরমা নদীর তীরবর্তী মিরেরগাঁও গ্রাম থেকে শামিম আহমদের লাশ ভাসমান পাওয়া যায়।
একই দিন বিকেলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম গ্রামের অমর চন্দ্র দাসের পুত্র অনিক দাস উরফে মোহন দাস (২০) বাড়ি থেকে সিলেট শহরে যাওয়ার পথে বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রামের মসজিদের সামনে স্রোতের পানিতে নিখোঁজ হন। রোববার বিকেলে তার লাশ পাওয়া যায়।
শুক্রবার দুপুরে দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের মতছিন আলীর স্ত্রী লিমা বেগম (৩৫) ও শালিকা সিমা বেগম (২৫) বাড়ির পাশ্ববর্তী খালে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হন। ওই দিন বিকেলে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
একই দিন পানিতে ডুবে মারা যান উপজেলার সিংরাওলী গ্রামের ইয়াসিন আলীর পুত্র আলতাবুর রহমান (৪৫)। লামাকাজী ইউনিয়নের দিঘলী দত্তপুর গ্রামের সিএনজি চালক অজিত রায় (৩৫) নিজ বসতঘরেই পানিতে ডুবে মারা যান।