জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাচ্ছেন চারজন রাজনীতিবিদ।
তারা হলেন—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহাসচিব আখতার হোসাইন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। তারা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রওনা দেবেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনায় রাজনীতিকরাই ভূমিকা রাখবেন—এই দিকটি বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এই সফরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অতীতে সরকারপ্রধানের প্রতিনিধি হিসেবে সাধারণত মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলীয় নেতৃবৃন্দই জাতিসংঘে যেতেন; তবে এ ধারা এবার ভাঙা হচ্ছে এবং প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় না থাকা রাজনৈতিক দলের নেতারাও সফরে অংশ নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কোনো বৈঠক হবে কি না তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না — এই ধরনের বড় আয়োজনে কিছু বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, আবার কিছু বৈঠক বাতিলও হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি থাকবার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গতবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের সভার আহ্বান ছিল এবং এবছর এ বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হবে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে গেছেন এবং আরও প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন; তাই এবারের আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এছাড়া গণতন্ত্রে যাত্রা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন এবং এক বছরে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপন করা হবে। তরুণ ও যুব সমাজের প্রত্যাশাও এবারের কর্মকাণ্ডে তুলে ধরা হবে।
বিদেশ সফরে গেলে উপদেষ্টারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন—এ সংক্রান্ত সরকারের আগাম প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি লন্ডনে সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের ঘটনায় লন্ডনে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। যে গাড়িটিকে হেনস্তা করা হয়েছে সেটাতেই মাহফুজ ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, নিউইয়র্কে পুলিশ সদস্যরা সাধারণত তিন হাত দূরে—দূরে দায়িত্ব পালন করেন; কিছু ক্ষেত্রে দেশে কেউ মিছিল করলে তাদের বাধা দেয়া হয় না, তবে নাশকতা হলে পুলিশ দ্রুত কার্যক্রম নেয়। এ ধরনের হেনস্তার ঘটনা নিউইয়র্কে অস্বাভাবিক নয় এবং তা পুরোপুরি ঠেকানোর সুযোগ আমাদের নেই—তবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
তথ্য সুত্র: সমকাল
আরোও পড়ুন:: বিশ্বনাথে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড।