কুশিয়ারায় পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙলো ডাইক, বন্যায় প্লাবিত জকিগঞ্জ

Ayas-ali-Advertise
কুশিয়ারায় পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙলো ডাইক, বন্যায় প্লাবিত জকিগঞ্জ
কুশিয়ারায় পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙলো ডাইক, বন্যায় প্লাবিত জকিগঞ্জ।
কুশিয়ারায় পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙলো ডাইক, বন্যায় প্লাবিত জকিগঞ্জ
কুশিয়ারায় পাহাড়ি ঢলের তাণ্ডবে ভাঙলো ডাইক, বন্যায় প্লাবিত জকিগঞ্জ।
Facebook
Twitter
WhatsApp

কয়েক দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের আসামের পাহাড়ি এলাকায় ভারি ঢলের কারণে কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে জকিগঞ্জ উপজেলার ওই স্থানে পানি প্রবেশ শুরু হওয়ায় ব্যাপক বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের উদ্বেগ, নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার বাঁধে আরও বড় ধরণের ভাঙন ঘটতে পারে।

সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামের পাশে কুশিয়ারা নদীর বাঁধের মধ্যে দিয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। পরের দিন সোমবার ভোরে একই ইউনিয়নের বাখরশাল ও সকাল আটটায় খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল গ্রামের পাশের বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে আশপাশের এলাকার নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া, জকিগঞ্জ পৌরসভার কাছাকাছি কেছরী গ্রামের পাশে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি শহরে ঢুকছে। মাইজকান্দি গ্রামের কাছে বাঁধের একটি অংশ ধসে নদীতে পড়েছে। জকিগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন যেমন ছবড়িয়া, সেনাপতিরচক, সুলতানপুর, ইছাপুর, খলাছড়া, বারঠাকুরী ও আমলশীদসহ প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বালু ও মাটি ভর্তি বস্তা ফেলেও বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছেন।

জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রায় ১০০ ফুট, বাখরশাল গ্রামে ৪০-৫০ ফুট এবং খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল এলাকায় ৩০-৪০ ফুট বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারনে পার্শ্ববর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে কুশিয়ারার পানি বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানির ঢল এখন থেকে বসতঘরে প্রবেশ করেছে। রবিবার রাত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছেন। উপজেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় জকিগঞ্জে বারবার বন্যার সঙ্গী হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরদারি ও বস্তার যোগান না পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না, যা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসন সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। বন্যাকবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। কত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে তা নিরূপণ কাজ চলছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪