Search
Close this search box.

সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকদের সংঘ’র্ষে আহ’ত ২০

সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকদের
সিলেটে ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকদের সংঘ’র্ষ । ছবি সংগৃহীত
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বেলা সোয়া ২টা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫-২০ জন আহত হন এবং ২৫-৩০টি গাড়ি ও ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। পরে বিকেল ৩টায় দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে পুলিশ।

সূত্রে জানা যায়, বন্দরবাজারের সিটি সুপার মার্কেটের সামনে সিএনজি পার্কিং এবং যাত্রী উঠা-নামানো নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এক অটোরিকশাচালক যাত্রী নামানোর পর ভাড়া নেয়ার সময় ব্যবসায়ীরা তাকে সরে যেতে বললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এর পরপরই আরও অটোরিকশাচালক জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং হাতাহাতি হয়। কিছুক্ষণ পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং ব্যবসায়ীরা অটোরিকশাচালকদের ধাওয়া করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন। এই সংঘর্ষের সময় ইট-পাটকেল ছোড়া হয় এবং সিটি মার্কেটের ৫টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকারসহ ২৫-৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এই সংঘর্ষে ১৫-২০ জন আহত হন।

বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়।

আরও পড়ুন :: সিলেটের গোয়াইনঘাট সী’মান্তে কোটি টাকা’র চোরা’ই পণ্য জ’ব্দ

ঘটনার পর থেকে অটোরিকশাচালকরা বন্দরবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অবরোধ চলতে থাকে।

ব্যবসায়ী ও অটোরিকশাচালকরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, সিটি মার্কেটের সামনে অটোরিকশা পার্কিং না করতে দীর্ঘদিন ধরেই নিষেধ করা হয়েছে, এমনকি সিটি করপোরেশনও নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অটোরিকশাচালকরা এ নির্দেশ মানছেন না এবং সিটি মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক দখল করে রাখছেন। এ বিষয়ে কথা বলতেই তারা হামলা চালান এবং দোকান ভাঙচুর করেন।

অন্যদিকে, অটোরিকশাচালকদের দাবি, তারা সমঝোতার প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাদের ওপর হামলা করেছেন। তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেবে না যতক্ষণ না সঠিক সমাধান পাওয়া যায়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে এবং পুলিশ নিশ্চিত করবে যাতে জনসাধারণ কোনো ভোগান্তির শিকার না হয়।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত