বিশ্বনাথনিউজ২৪::: সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে। কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর প্রস্তাবের আলোকে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য বিভাগ সক্রিয়ভাবে এইসব আমিষজাতীয় পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে।
জানা যায় ১০টি কোম্পানি বছরে একশত কোটি ডিম আমদানি করবে বলে আশা করছে। ব্যবসায়ীরা এর আগেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব এসেছে। দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন। দেশের মুরগির খামারগুলোর চাহিদা পূরণের সক্ষমতা রয়েছে।
কয়েক মাস ধরে দেশের ডিমের বাজার স্থবির হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করেই এসব আমিষের দাম ডজনপ্রতি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় চলে গেছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতি ডজন খামারের ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৫০ টাকায়। তিন মাসের ব্যবধানে প্রতিটি ডিমের দাম বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা।
পোল্ট্রি শিল্পের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুতের অতরিক্ত যাওয়া আসার কারনে খামারে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার, রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের শুরু থেকে পোল্ট্রি ফিডের দাম বেড়েছে। এ কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে।
ফলে দাম বেড়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার তাদের অভিযানে যা পর্যবেক্ষণ করেছে তা সত্ত্বেও, ব্যবসায়ীদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য নয়। এ অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে অনেক কোম্পানি ও পাইকারি বিক্রেতারা।
অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের যোগসাজশের প্রমাণও পেয়েছে । এ ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদপ্তর ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পক্ষে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংস্থা এফবিসিসিআইও এর আগে ইতিবাচক রিভিউ দিয়েছে।