বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে কী পরীক্ষা করাবে, যা জানলে কমবে স্বাস্থ্যঝুঁকি

Ayas-ali-Advertise
বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে কী পরীক্ষা করাবে, যা জানলে কমবে স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রতীকি ছবি।
বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে কী পরীক্ষা করাবে, যা জানলে কমবে স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রতীকি ছবি।
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিয়ের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা উপেক্ষা করলে ভবিষ্যতে দাম্পত্যজীবন থেকে শুরু করে সন্তানের সুস্থতা পর্যন্ত নানা জটিলতার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবাহপূর্ব স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু ব্যক্তিগত সচেতনতার অংশই নয়, বরং এটি পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষার গুরুত্ব

থ্যালাসেমিয়া আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে দেখা যায়। তাই বিয়ের আগে এই পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। বর-কনে কেউ আক্রান্ত বা বাহক হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বিয়ে বা সন্তানধারণ ভবিষ্যতে বড় বিপদের কারণ হতে পারে।

ব্লাড গ্রুপ ও আরএইচ ফ্যাক্টর মিলিয়ে দেখা

রক্তের গ্রুপ বড় সমস্যা না হলেও আরএইচ ফ্যাক্টরের ভিন্নতা গর্ভস্থ শিশুর জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। মা আরএইচ নেগেটিভ এবং বাবা আরএইচ পজিটিভ হলে ‘ইরাইথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস’ নামের মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে সময়মতো চিকিৎসা নিলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

যৌনবাহিত রোগের স্ক্রিনিং

এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস বি ও সি—এ ধরনের যৌনবাহিত রোগ বিয়ের পর দাম্পত্য সম্পর্কে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আগে থেকেই পরীক্ষা করালে শুধু দম্পতিরাই নন, ভবিষ্যৎ সন্তানও সুরক্ষিত থাকে।

বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা অপরিহার্য হয়ে উঠছে

বর্তমানে বন্ধ্যত্ব সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। তাই বিয়ের আগেই পুরুষের শুক্রাণু পরীক্ষা এবং নারীর হরমোন, আলট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি পরীক্ষা করে প্রজননক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া ভালো। এতে আগেভাগেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা যায়।

বংশগত রোগ সম্পর্কে সতর্কতা

পরিবারে বংশগত রোগের ইতিহাস থাকলে বিয়ের আগে সেসব রোগের স্ক্রিনিং করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায়।

ক্রনিক রোগ শনাক্তকরণ

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা—এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকলে তা আগে থেকে জানা জরুরি। এতে দাম্পত্যজীবন ও ভবিষ্যতে সন্তান পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও অভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ হয়।

মানসিক স্বাস্থ্যের মূল্যায়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ

বিয়ে মানসিক রোগ নিরাময়ের কোনো উপায় নয়। বরং সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিজঅর্ডারের মতো রোগ বিয়ের আগে শনাক্ত ও চিকিৎসার আওতায় না আনলে সম্পর্ক ও পরিবার দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, বিবাহপূর্ব এসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু রোগ প্রতিরোধেই নয়, বরং একটি সুস্থ, স্থিতিশীল ও সুখী দাম্পত্যজীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪