সিলেটে লন্ডন পাঠানোর নামে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত কারাগারে

Ayas-ali-Advertise
সিলেটে লন্ডন পাঠানোর নামে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত কারাগারে
আহসানুল করিম খন্দকার।
সিলেটে লন্ডন পাঠানোর নামে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত কারাগারে
আহসানুল করিম খন্দকার।
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটে আফতাব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি তার পুত্রবধূকে যুক্তরাজ্যে (লন্ডন) পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নং ৩-এ অভিযোগ দাখিল করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন (এসএমপি শাহপরান থানায় মামলা-সিআর নং ৩১৭/২০২৪)।

মামলার অভিযুক্ত প্রধান ব্যক্তি আহসানুল করিম খন্দকার (৪৫) গত ২৭ জুন সিলেটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ বিষয়ে মামলার সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের এসএমপির হযরত শাহপরান (রহ.) থানাধীন শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আহসানুল করিম, বাদী আফতাব উদ্দিনের পুত্রবধূকে যুক্তরাজ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি শিবগঞ্জ এলাকায় তার বাসায় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে একটি চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা ছিল এবং বাদী তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট তিনটি চেকের মাধ্যমে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে আহসানুল করিম “KURSK LIMITED” নামে একটি প্রতিষ্ঠানের একটি COS (Certificate of Sponsorship) লেটার প্রদান করেন, যেটি যাচাই করার পর সন্দেহ তৈরি হয় এবং প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আহসানুল করিম অভিযোগের বিষয়ে সমঝোতার আশ্বাস দেন এবং টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনটি চেক প্রদান করেন। তবে ২৬ জুন বাদী ওই চেকগুলো ব্যাংকে উপস্থাপন করলে তা অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে ডিজঅনার (বাউন্স) হয়। এরপর আহসানুল করিম পূর্বের লেনদেন অস্বীকার করেন এবং বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই তদন্তে চুক্তিপত্র, চেক, ব্যাংক বিবরণী ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি সংগ্রহ করে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (পিবিআই) আবু হানিফ ২৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। রিপোর্টে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এ মামলায় আসামির ছেলের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে। তবে মামলার কার্যক্রম চলমান থাকায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করেনি সংশ্লিষ্টরা।

মামলার বাদী আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে লন্ডনে থাকেন। পুত্রবধূকে সেখানে পাঠানোর আশায় বিবাদীর সঙ্গে চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী অনেক টাকা পরিশোধ করলেও দীর্ঘদিনেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে আইনি আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের পরিচিত হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে আমি মনে করি। আমি বিশ্বাস করি, আদালত আমাকে ন্যায়বিচার দেবেন।’

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪