আবার চালু হচ্ছে শমশেরনগরসহ দেশের সাতটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর

Ayas-ali-Advertise
আবার চালু হচ্ছে শমশেরনগরসহ দেশের সাতটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর
আবার চালু হচ্ছে শমশেরনগর পরিত্যক্ত বিমানবন্দর।
আবার চালু হচ্ছে শমশেরনগরসহ দেশের সাতটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর
আবার চালু হচ্ছে শমশেরনগর পরিত্যক্ত বিমানবন্দর।
Facebook
Twitter
WhatsApp

দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মৌলভীবাজারের শমশেরনগরসহ দেশের সাতটি বিমানবন্দর পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনব্যবস্থা যেমন গতিশীল হবে তেমনি পর্যটন, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক উন্নয়নেও গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে দেশে ২৮টি বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছিল। এর মধ্যে বগুড়া, শমশেরনগর, লালমনিরহাট, ঈশ্বরদী ও ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরসহ সাতটি বিমানবন্দর পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি দুটি বিমানবন্দরের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সূত্র জানায়, এসব বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকলেও বর্তমানে সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সহজলভ্য ও দ্রুত যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামী জুলাই মাসেই বগুড়া বিমানবন্দরে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা চালুর পরিকল্পনা করছি। এর মধ্যে বগুড়া বিমানবন্দর সবার আগে চালু হবে বলে আশা করছি। জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করে জুলাইয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করা সম্ভব হবে।’

জানা গেছে, বগুড়া বিমানবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে এবং শেষ হয় ২০০০ সালে। পুনরায় চালুর জন্য রানওয়ে সম্প্রসারণ, লাইট স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে যা আগামী জুন মাসের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। এদিকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে ঢাকা-বগুড়া রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর বিষয়ে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এ টি এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাতায়াতে অনেক সময় লাগে। এ রুটে বিমান চলাচল শুরু হলে যাত্রীসেবা বাড়বে। এছাড়া আগে চালু থাকায় লালমনিরহাট ও শমশেরনগর বিমানবন্দর দ্রুত সচল করা সম্ভব।’

তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কিছু বিমানবন্দর চালু করতে হলে বড় পরিসরে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে রয়েছে রানওয়ে সংস্কার, টার্মিনাল নির্মাণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ এবং প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ। এসব কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বেবিচক ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন নয়, বরং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো সচল হলে বাংলাদেশের আকাশপথে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪