সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আপসনামা দাখিল করা হয়েছে। মামলার বাদী হাফিজ আহমদ ও তাঁর ভাই জহুর মিয়া সোমবার দ্রুত বিচার আদালতে উপস্থিত হয়ে আপসনামাটি জমা দেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র আপসনামাটি গ্রহণ করেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে নির্দেশ দেন।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ আহমদ দ্রুত বিচার আইনে এ মামলা করেন। এতে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ চারজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে আরও ২০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছিল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট পুরাতন বাসস্টেশনে হামলার ঘটনায় বাদীর ভাইসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় এবং পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বাদী ও তাঁর ভাই আদালতকে জানান, আসামিদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলাটি আপসে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে লিখিত আপসনামা দাখিল করা হয়। বাদীর আইনজীবী নানু মিয়া বলেন, আদালত আপসনামাটি নথিভুক্ত করেছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে ছিলেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রনজিত সরকার, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন।
এ বিষয় বাদী পরে গণমাধ্যমে জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের অনেককেই চেনেন না তিনি। মামলায় সাবেক মেয়রসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে অনেকে এখনও কারাগারে রয়েছেন। সুত্র সমকাল
আরোও পড়ুন:: কোম্পানীগঞ্জে বাংকারে পাথর চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু।