এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

Ayas-ali-Advertise
এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি।
এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি
এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি।
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম. ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ জন নেতাকর্মীর গুম ও হত্যা অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন করেছে বিএনপি। এছাড়াও, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ২হাজার ২৭৬ জন নেতা কর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে এ অভিযোগে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি), বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির গুম ও খুন বিষয়ক তথ্য সংরক্ষণ কমিটির সমন্বয়ক মো. সালাউদ্দিন খান। এসময় আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনায় দলের ১শত ৫৩জন নেতাকর্মীকে অপহরণ পূর্বক গুম করে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগে আরোও বলা হয়, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য এবং তাদের দলীয় সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতা কর্মী ও সমর্থকদের অপহরণ পূর্বক গুম করে হত্যা এবং এখন পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী এবং চৌধুরী আলম। দলটির পক্ষ থেকে গুমের বিষয়ে তদন্ত করে ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

ক্রসফায়ারের অভিযোগে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে দলটির সন্ত্রাসী সদস্যরা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী সদস্য দমন-পীড়ন এবং নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করে। বিএনপিকে দুর্বল করার লক্ষ্যে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের বিচ্ছিন্ন করতে ক্রসফায়ারের নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়।

এই অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২হাজার ২৭৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল বিএনপির মতো একটি বড় দলকে দুর্বল করা।তাদের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা এবং পরিবারগুলোকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা। ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিএনপির মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দলীয় কার্যক্রম থেকে কর্মীদের বিরত রাখা এবং দলটিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা চালানো হয়।

অভিযোগ দাযের করে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ সকল অভিযোগের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

অভিযোগ দায়েরের পর মো. সালাউদ্দিন খান বলেন, “ক্রসফায়ার ও গুমের শিকার সবাই আমাদের দলের নেতাকর্মী। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ আরও ১৫৩ জন।”

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪