মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত সিলেট-১ আসনে যে দল বিজয়ী হয়, সেই দলই সরকার গঠন করে—এমন বিশ্বাস অনেকের। তাই সিলেট-১ আসনটি যার, সরকারও তার। তাই গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে সব দলই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।
সকল রাজনৈতিক দলের আছে মর্যাদাপূর্ণ এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। এর আগে তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
এ বিষয়টি নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমদ আযম খান। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে বিজয় শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মুক্তাদিরকে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।
সমাবেশে আযম খান বলেন, ‘এই সদর আসনে (সিলেট-১) প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদির। তার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ইলিয়াস আলীর রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তার রক্তে শপথ নিয়ে আমরা সিলেটের প্রতিটি আসনে বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো।’
বক্তব্য প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী, জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জামায়াত আগামী নির্বাচনে জোটগতভাবে নয়, এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে। এ উদ্দেশ্যে তারা সিলেটসহ সারা দেশে ৩০০টি আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিলেট-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো।