সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের নিজাম উদ্দিনের পুত্র রাহি আহমদ সাইমের ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা এই মৃত্যুকে রহস্যজনক দাবি করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সাইমের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মানববন্ধন করেন। এ মানববন্ধনে সাইমের পরিবার, সহপাঠী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা রাহি আহমদ সাইমের রহস্যজনক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে, এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন এবং এর সঙ্গে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম জাহাঙ্গীর, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইকবাল উদ্দিন, নিহতের বড় ভাই সাইফ উদ্দিন, বাবা নিজাম উদ্দিন, মা রত্না বেগম এবং আত্মীয় তোয়াব আলী।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত হাজী তৈমুছ আলীর ছেলে তাহির মিয়া সাইমের চাচার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর নিহতের মা রত্না বেগম বাদী হয়ে থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং: ১২। মামলায় আসামীরা হলেন, জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত হাজী তৈমুছ আলীর ছেলে তাহির মিয়া (৩৭), তাহির মিয়ার বোন নিলুফা বেগম (৩৪), স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩০)।
সর্ম্পকিত খবর: বিশ্বনাথে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, ৩ আসামীর রিমান্ড আবেদন
ইতিমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। সেই সাথে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেফতার, মৃত ব্যক্তির মোবাইল উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহের জন্য ৩ অভিযুক্তের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।