বিশ্বনাথে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, ৩ আসামীর রিমান্ড আবেদন

Ayas-ali-Advertise
কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
নিহত সাইম আহমদ।
কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
নিহত সাইম আহমদ।
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটের বিশ্বনাথে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী কিশোর সাইম আহমদের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে নিহতের মা রত্না বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ১২।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রধান তিন অভিযুক্তের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।

মামালা এজাহারে নিহতের মা রত্না বেগম উল্লেখ‌্য করেন, তার ছেলে সাইম আহমদ জানাইয়া গ্রামের মৃত হাজী তৈমুছ আলীর পুত্র তাহির মিয়ার ছেলে তারেক আহমদেরে সাথে বন্ধুর সম্পর্কে যাতায়াত করত। ২৪ নভেম্বর থেকে সাইম ওই বাড়িতে থাকছিল। ২৭ নভেম্বর দুপুরে সাইমের মা তাকে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন এবং সাইম তাকে জানান যে তাহির মিয়ার বোন নিলুফা বেগম পার্শ্ববর্তী দোকানদার দিলু মিয়ার পাওনা টাকা দেয়ার জন্য ১২ হাজার ৫শত টাকা দিয়েছে। সন্ধা অনুমান ৬টায় তাহির মিয়া সাইমকে ফোন করে তাদের বাড়িতে যেতে বলিলে সে নিলুফা বেগমের দেওয়া টাকা দোকানের মালিক দিলু মিয়াকে দিয়ে পুনরায় তাহির মিয়ার বাড়িতে চলে যায়।

রাত ৯ টায় তাহির মিয়া সাইমের বিষয়ে তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং জানান যে সাইম হয়তো তারেক আহমদের সঙ্গে খেলতে বাহিরে গেছে। কিছু সময় পর রত্না বেগমের কাছে খবর আসে যে তার ছেলে সাইম তাহির মিয়ার বাড়িতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর রত্না বেগম তার ছেলেকে তাহির মিয়ার বসতঘরের উত্তর পাশের কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে দ্রুত তাকে নামিয়ে বিশ্বনাথ সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাদী রত্না বেগম অভিযোগ করেছেন যে, তাহির মিয়া এবং নিলুফা বেগমসহ অন্যান্য আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে হত্যা করে। পরে তাকে রডের হুকের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করেন। ময়নাতদন্তের পর সাইমের লাশ দাফন করা হয় এবং আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত হাজী তৈমুছ আলীর ছেলে তাহির মিয়া (৩৭), তাহির মিয়ার বোন নিলুফা বেগম (৩৪), স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩০)। এছাড়া আরও ২-৩ জন অজ্ঞাতনামা রয়েছে।

এদিকে সিলিং ফ্যান থেকে কিশোর সাইমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পরদিন ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে তৈমুছ আলীর পুত্র তাহির মিয়া (৩৭), তাহির মিয়ার বোন নিলুফা বেগম (৩৪) এবং স্ত্রী রুবিনা বেগম (৩০ সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করে পুলিশ। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদলতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

সর্ম্পকিত খবর:: বিশ্বনাথে সিলিং ফ্যান থেকে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন, অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের সনাক্ত ও গ্রেফতার, মৃত ব্যক্তির মোবাইল উদ্ধার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত সংগ্রহের জন্য ৩ অভিযুক্তের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪