বিশ্বনাথে বিতর্কিত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হককে অবশেষে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় বদলী করা হয়েছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্বনাথের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ। গত ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সংস্থাপন) এ.এস.এম সিরাজুদ্দোহা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে বদলি করা হয়।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং মেয়েদের হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সেখানকার ধর্মপ্রাণ জনগণ তার অপসারণের দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আলেয়া ফেরদৌসী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বিশ্বনাথ উপজেলায় বদলি করা হয়। এ খবর জানার পর বিতর্কিত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথের ধর্মপ্রাণ জনগণ প্রতিবাদ শুরু করে।
ইনকিলাব সংসদের উদ্যোগে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের অপসারণের দাবিতে পর্যায়ক্রমে মানববন্ধন, স্মারকলিপি, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অবশেষে বিশ্বনাথে আন্দোলনের বিস্তার ঘটার আগেই তাকে সন্দ্বীপে বদলি করা হয় ।
সর্ম্পকিত খবর: বিশ্বনাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
এ বিষয়ে ইনকিলাব সংসদের সভাপতি মোছন আলী বলেন, “আল্লাহ তাআলার অশেষ মেহেরবানিতে ইনকিলাব সংসদের উদ্যোগ এবং বিশ্বনাথের সর্বস্তরের জনসাধারণের আন্দোলনের ফলে বিশেষ করে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার ইনকিলাব সংসদ ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ থেকে ৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ও ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং বিতর্কিত নাস্তিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত বিশ্বনাথ থেকে অপসারণ করেছেন। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই।”