ছেলের নির্যাতনে মায়ের আর্তনাদ, সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী

Ayas-ali-Advertise
ছেলের নির্যাতনে মায়ের আর্তনাদ, সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী
ছেলের নির্যাতনে মায়ের আর্তনাদ, সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী।
ছেলের নির্যাতনে মায়ের আর্তনাদ, সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী
ছেলের নির্যাতনে মায়ের আর্তনাদ, সন্তানকে মাটিতে পুঁতে রাখল এলাকাবাসী।
Facebook
Twitter
WhatsApp

মাদকাসক্ত ছেলের লাগাতার নির্যাতনে অতিষ্ঠ এক মায়ের কান্না ও আর্তনাদকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সহ্যসীমা অতিক্রম করায় এলাকাবাসীর সামনে বিচারের মুখে পড়তে হয়েছে এক যুবককে।

ঘটনাটি শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত খলিল নেশার টাকার জন্য নিয়মিত তার মা খোদেজা বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এ নির্যাতন দিনের পর দিন চললেও ভয়ে ও অসহায়ত্বে বিষয়টি সহ্য করে যাচ্ছিলেন ওই মা।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে নেশার জন্য টাকা না পেয়ে খলিল আবারও মাকে মারধর করেন। এতে আহত ও অসহায় মা কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রতিবেশীদের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন। মায়ের সেই আর্তনাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তারা খলিলকে আটক করে মারধর করেন এবং একপর্যায়ে শাস্তিস্বরূপ কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখেন।

ঘটনার খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ ঘটনাটিকে আইনের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন। তবে অনেকের মতে, মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে দিনের পর দিন নির্যাতিত এক মায়ের অসহায় অবস্থারই বহিঃপ্রকাশ এ ঘটনা। অন্যদিকে সচেতন মহলের অভিমত, মাদকের ভয়াবহতা সমাজকে কীভাবে অমানবিক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে—এই ঘটনাই তার নির্মম উদাহরণ।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, মাদকাসক্তদের ক্ষেত্রে শুধু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। তা না হলে একদিকে যেমন একটি জীবন ধ্বংস হবে, অন্যদিকে পরিবার ও সমাজের মানবিক বন্ধনও ভেঙে পড়বে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪