সিলেট-২ আসনে জামায়াত মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান বলেছেন, ‘একসাথে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না। আমি মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজন করা প্রয়োজন। তারপর নির্বাচন।’
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা মডেল মসজিদের হলরুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তব্যে আব্দুল হান্নান আরও বলেন, ‘আপনাদের ভোটে আমি নির্বাচিত হলে এবং জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া হবে। আমার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট দূরীকরণে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করে যুব সমাজকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হান্নান জানান, ‘আন্দোলনরত ইসলামী ৮ দলের সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত আমি প্রার্থী হিসেবে থাকবো বলে পচানব্বই ভাগ আশাবাদী। তারপরও, যদি দল আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে সমর্থন দেয়, আমি সেই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবো।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা জামায়াতের আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, পৌর জামায়াতের আমীর এইচএম আখতার ফারুক, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার ইমাদ উদ্দিন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুস সোবহান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মতিউর রহমান, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী আব্দুল মুকছিত আখতার, বায়তুলমাল সম্পাদক আশিকুর রহমান, অফিস সেক্রেটারী এইচএম মোহাম্মদ আলী, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাহ হোসাইন আলী, পৌর ছাত্র শিবিরের সভাপতি মতিউর রহমান ইমন প্রমুখ।





