সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় তার ছেলে আসাদ আহমদকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে আসাদ আহমদকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ। তবে আদালত তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে আসাদ আহমদকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর ও মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আবদুর রাজ্জাক বাসার ছাদে হাঁটতে যান। সকাল ৯টার দিকে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছাদে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে প্রবেশ বা বের হয়নি, এমনকি প্রধান ফটকও ছিল তালাবদ্ধ। এতে পুলিশের ধারণা, ঘরের ভেতর থেকেই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘরে বাইরের কেউ প্রবেশ করেনি—তাই নিশ্চিতভাবেই হত্যাকাণ্ডটি ঘরের ভেতর থেকেই ঘটেছে। সন্দেহভাজন হিসেবে পরিবারের কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা বিষয়টি স্বীকার না করায় রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে।”
শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত আবদুর রাজ্জাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের নিজ বাড়ির ছাদ থেকে আবদুর রাজ্জাকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আবদুর রাজ্জাক (পিতা মৃত মৌলুল হোসেন) দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরোও পড়ুন:: সিলেটে নিজ বাড়ির ছাদে প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার।






