বিশ্বনাথে ফুটবলারদের নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ও উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জুয়েল এবং উপজেলা খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি লোকমান মিয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বনাথ বনাম দক্ষিণ সুরমা ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বিশ্বনাথ উপজেলা দলের আটজন ফুটবলারকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে জেলা রেফারি এসোসিয়েশন। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টিও জানা গেছে।
এ ধরনের সিদ্ধান্তে গভীর হতবাক ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠন দুটি। তারা বলেন, “রেফারি এসোসিয়েশনের মতো অভিভাবকতুল্য সংগঠনের এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত এ সিদ্ধান্ত ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।” এছাড়া জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ পরিচালনা পর্ষদ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতি পুরো ম্যাচটি মূল্যায়ন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্বনাথে ফুটবল দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় খেলা। সিলেটের ফুটবলের আঁতুড়ঘর হিসেবে এর সুনাম রয়েছে। অথচ অকারণে তরুণ ফুটবলারদের নিষিদ্ধ করা অন্যায়ের শামিল। এতে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি বিশ্বনাথে খেলাধুলার পরিবেশও ধ্বংস হবে।
তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও সামাজিক অনাচার থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই জানিয়ে সংগঠন দুটি বলে, “ফুটবল মাঠে রেফারির সঙ্গে যে অন্যায় আচরণ হয়েছে আমরা তার নিন্দা জানাই। তবে মাঠের ভেতরের ঘটনা মাঠেই ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে বলে মনে করি। প্রয়োজন হলে ম্যাচ মূল্যায়ন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে আটজন খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আসলে বিশ্বনাথের ফুটবলাঙ্গন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র।”
বিবৃতিতে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে খেলোয়াড়দের মাঠে খেলার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আরোও পড়ুন:: বিশ্বনাথে দুর্ঘটনার ১৩ দিন পর মারা গেলেন আহত নারী।