বিশ্বনাথে স্কুলে হামলার মামলায় ৪ পলাতক আসামি কারাগারে

Ayas-ali-Advertise
বিশ্বনাথে স্কুলে হামলার মামলায় ৪ পলাতক আসামির জামিন নামঞ্জুর
বিশ্বনাথে স্কুলে হামলার মামলায় ৪ পলাতক আসামির জামিন নামঞ্জুর
বিশ্বনাথে স্কুলে হামলার মামলায় ৪ পলাতক আসামির জামিন নামঞ্জুর
বিশ্বনাথে স্কুলে হামলার মামলায় ৪ পলাতক আসামির জামিন নামঞ্জুর
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার লামাকাজী ইইনিয়নের রাগীব-রাবেয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার মামলায় পলাতক থাকা চার আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ মে) তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন—মির্জারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মমিনের ছেলে সুহেল আহমদ বাদশা, কেশবপুর গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে ছাদিকুর রহমান ওরফে লাহিন আহমদ, একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইকবাল আহমদ এবং মির্জারগাঁওয়ের আব্দুস সালাম।

বিষযটি নিশ্চিত করেছেন বাদাী পক্ষের আইনজীবী, সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাঈদ আহমদ।

এর আগে, মামলার প্রধান আসামি ও প্রতিষ্ঠানটির শরীরচর্চার শিক্ষক মো. কামাল মিয়াকে (৪০) গত ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কামাল মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার লৈইল্যাপুর গ্রামে।

জানা যায়, ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর রাগীব-রাবেয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে একদল হামলাকারী দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এই ঘটনায় অধ্যক্ষ মো. ছিফত আলী বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা (নং ৮৪/২৪) দায়ের করেন, যা পরবর্তীতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

আদালত মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয় সিলেট পিবিআইকে। তদন্ত শেষে গত ১৮ মার্চ পিবিআই মামলার নথিপত্র ও আইনজীবীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২’-এর ৪/৫ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলার আসামিরা হলেন—মো. কামাল মিয়া, সৈদ আলী, আবুল কালাম, সুহেল আহমদ বাদশা, হেলাল আহমদ চৌধুরী, ছাদিকুর রহমান ওরফে লাহিন আহমদ, ইকবাল আহমদ ও আব্দুস সালাম। এদের মধ্যে ২ নম্বর আসামি সৈদ আলী (ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক) এবং আবুল কালাম মেম্বার দীর্ঘ কারাবাস শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে, প্রধান আসামি কামাল মিয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনিয়মের অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তৎকালীন পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক। ইউএনও তাকে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ৯৭ জন অভিভাবক গত ২৫ জানুয়ারি ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনার বরাবরও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪