হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে লাকড়ি তোড়া উৎসবে মানুষের ঢল

Ayas-ali-Advertise
হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে লাকড়ি তোড়া উৎসবে মানুষের ঢল
হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে লাকড়ি তোড়া উৎসবে মানুষের ঢল।
হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে লাকড়ি তোড়া উৎসবে মানুষের ঢল
হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে লাকড়ি তোড়া উৎসবে মানুষের ঢল।
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ওরস উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) লাকড়ি তোড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন হাজারো ভক্ত। সিলেট জেলা ট্যুর প্যাকেজের আওতায় এ উৎসবে মাজার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে লাকড়ি সংগ্রহের টিলা পর্যন্ত ছিল ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত।

ঐতিহ্য অনুযায়ী, ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়, যাকে ‘লাকড়ি তোড়া’ বলা হয়।

জানা গেছে, বহু ভক্ত লাল জামা, লাল পট্টি মাথায় পরে এবং হাতে লাল পতাকা ও তরবারি নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। জুমার নামাজের পর, দরগা প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ‘নাকাড়া’ ধ্বনি, যা এক ঐতিহ্যবাহী আধ্যাত্মিক আহ্বান হিসেবে পরিচিত। এরপর ভক্তরা একসাথে উচ্চারণ করেন “শাহজালাল বাবা কি জয়!” এবং হাজার হাজার ভক্ত পায়ে হেঁটে শহরতলির লাক্কাতুড়া চা-বাগানের নির্দিষ্ট টিলার দিকে রওনা দেন।

টিলায় গিয়ে তারা কাঠ সংগ্রহ করেন, যা পরবর্তীতে শাহজালাল (র.)-এর ওরসের রান্নার শিরনিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বহু প্রজন্ম ধরে পালন করা এ উৎসবকে অনেকে ‘সিলেট বিজয় দিবস’ হিসেবেও উদযাপন করেন।

এ উৎসব শুধু আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক নয়, এটি সিলেটের ইতিহাসের একটি অংশও। প্রায় ৭০০ বছর আগে, ২৬ শাওয়াল দিনে হযরত শাহজালাল (র.) তাঁর ৩৬০ আউলিয়াসহ সিলেটে প্রবেশ করেন এবং গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ঐতিহাসিক দিনের স্মরণে এই লাকড়ি তোড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়, যা আজও একটি জীবন্ত ঐতিহ্য হয়ে পালন করা হয়।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪