সুস্বাদু পেয়ারা কেবল মৌসুমি ফল নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যবীমা! প্রতিদিনের ডায়েটে এই ফলটি যোগ করলে যেমন বাড়ে মুখের রুচি, তেমনি দেহে কাজ করে অদৃশ্য সুপারশিল্ডের মতো। পুষ্টিবিদদের মতে, পেয়ারায় লুকিয়ে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে গড়ে তোলে রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক বর্ম। বাংলাদেশে সারা বছরই হাট-বাজারে সহজলভ্য এই ফলটির দাম অন্যান্য ফলের চেয়ে কম হলেও পুষ্টিমানে এটি অনেক এগিয়ে।
যেসব শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পেয়ারা হতে পারে প্রাকৃতিক অস্ত্র
১. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ
পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালির চাপ কমিয়ে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি রক্তসঞ্চালন উন্নত করে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে, ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
২. হজমজনিত রোগ
প্রাকৃতিক আঁশ ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাকস্থলীর সংক্রমণ রোধ করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর হয়, হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
৩. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও উচ্চ আঁশের কারণে পেয়ারা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা প্রি-ডায়াবেটিক ব্যক্তিদের জন্য এটি নিরাপদ একটি স্ন্যাক্স।
৪. স্থূলতা ও মেটাবলিক সিনড্রোম
কম ক্যালোরি ও উচ্চ পুষ্টিগুণের সমন্বয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারার আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দেয়, যা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণে বাধা দেয়।
৫. ভিটামিনের ঘাটতিজনিত রোগ
ভিটামিন সি, এ ও কে-এর প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে পেয়ারা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং রক্তজমাট বাঁধার ক্ষমতা উন্নত করে।
৬. হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোগ
ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতি হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। দাঁতের মজবুত গঠনেও এটি সহায়ক।
আরও পড়ুন:: যে ৪টি কারণে হতে পারে অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক