বর্তমানে ফেসবুক শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়। মত প্রকাশ ও তথ্য বিনিময়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। তবে অসচেতনভাবে কিছু পোস্ট, কমেন্ট বা ভিডিও শেয়ার করলে হতে পারে বড় বিপদ। এমনকি পড়তে হতে পারে আইনি জটিলতায়।
আপত্তিকর ও উসকানিমূলক পোস্ট
জাতীয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন যেকোনো পোস্ট করা আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিশেষ করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো, উপাসনালয় নিয়ে কটূক্তি করা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করলে হতে পারে জেল ও জরিমানা। তাই এ ধরনের পোস্ট শেয়ার বা মন্তব্য করার আগে সচেতন থাকা জরুরি।
মানহানিকর তথ্য প্রচার
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। যেমন—কারো বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ তোলা, সেলিব্রিটি বা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য শেয়ার করা। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এসব অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
প্রতারণা ও সাইবার অপরাধ
ভুয়া লটারি, মিথ্যা অফার বা চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করাও ফেসবুকে প্রায়ই ঘটে থাকে। অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তাই যেকোনো কিছু পোস্ট করার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো
সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা গুরুতর অপরাধ। যেমন—ভুয়া সংবাদ বা ভিডিও শেয়ার করা, জাতীয় সংকটের সময় গুজব ছড়ানো, নির্বাচনের বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা। তাই কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে তার সত্যতা নিশ্চিত করুন এবং কেবলমাত্র নির্ভরযোগ্য সূত্রের ওপর ভরসা করুন।
অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তা যেন কারও ক্ষতির কারণ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। ফেসবুকে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে তার আইনি দিক সম্পর্কে সচেতন থাকলেই এড়ানো যেতে পারে বড় বিপদ।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন অনলাইন সূত্র।
আরও পড়ুন:: ২০২৫ সালে এআইয়ের যে তিনটি সাইড থেকে করা যেতে পারে লাখ টাকা আয়।