সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ১,৪শত জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে হাইওয়ে পুলিশ। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ডাকাতির বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা এ তালিকায় রয়েছেন। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তাদের ওপর পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্র্যাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম।
ডাকাতি রোধে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ—বিষয়টি উল্লেখ করে ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, “যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে, পুলিশ ডাকাতদের খুঁজছে। তখন তারা আরও সতর্ক থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এককভাবে পুলিশের পক্ষে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের মহাসড়কে ১৩৯টি হাটবাজার রয়েছে। এসব বাজার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এককভাবে এসব উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারবে না পুলিশ। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সহযোগিতা দরকার।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সাতটি দাবি তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে—ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ, মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীর জন্য মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে ভিজিলেন্স টিম গঠন এবং ঈদের ১০ দিন আগে মহাসড়ক থেকে সব ধরনের অটোরিকশা সরানো।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব মুহাম্মদ জকরিয়া বলেন, “উড়ালসড়ক থেকে নামার পরপরই যানজটে পড়তে হয়। অথচ এসব অবকাঠামোর অনুমোদনে যাঁরা জড়িত তাঁদের কোনো জবাবদিহি নেই। ঢাকার বেশিরভাগ উড়ালসড়ক অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে, যেগুলো যানজট নিরসনের বদলে সমস্যা আরও বাড়িয়েছে।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম বলেন, “সড়কে কোন ধরনের যান চলবে। সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার। স্বাধীনতার পর থেকে এ বিষয়ে কোনো সুসংগঠিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। যার কারনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে যানবাহন আমদানি হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভাঙা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে সব দায় চালকের ওপর পড়ে। অথচ অনেক ক্ষেত্রে চালকের পক্ষে রাস্তার অবস্থা আগে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া জরুরি।”
আরও পড়ুন:: শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সিলেটে সংঘর্ষ।