বর্তমান যুগে একক আয়ের ওপর কমে যাচ্ছে নির্ভরশীলতা এবং প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কারণে অনেক পেশায় হচ্ছে পরিবর্তিত। একদিকে যেখানে বড় বড় সংস্থাগুলোতে কর্মী ছাঁটাইয়ের হার বাড়ছে। অন্যদিকে অনেক পেশাকে অবলুপ্ত করে ফেলছে এআই প্রযুক্তি। এ পরিস্থিতিতে অনেক ঝুঁকছেন পেশাজীবী ফ্রিল্যান্সিং এবং গিগ ইকোনমির দিকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যা প্রায় ৮৬.৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে। এ কারনে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি শক্তিশালী ক্যারিয়ার গড়ার পথ খুলে গেছে।
এখানে আমরা জানব এমন তিনটি সাইড আয়ের উপায়। যেগুলো থেকে ২০২৫ সালে প্রতি বছর লাখ টাকা আয় করতে সহায়তা করবে।
এআই কনসালটিং
এআই কনসালটিং বর্তমানে একটি খুব জনপ্রিয় এবং দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষেত্র। এআই কনসালটিং সেবার বাজার ২০২২ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৮ সালে ৬৪৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একজন এআই কনসালট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন ব্যবসায় তাদের প্রযুক্তি এবং প্রক্রিয়ায় এআই অন্তর্ভুক্ত করতে সহায়তা করবেন এবং এআই ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পরামর্শ দেবেন। এই সেবায় একজন কনসালট্যান্ট প্রতি প্রকল্পে ৮ হাজার ডলার থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
এআই কনটেন্ট রিভিউয়ার
এআই কনটেন্ট রিভিউয়ার হিসেবে, একজন ফ্রিল্যান্সার এআই-জেনারেটেড কনটেন্টের ভুল এবং অসঙ্গতি চিহ্নিত করবেন। উদাহরণস্বরূপ, Outlier নামক একটি প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে । যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘণ্টায় ২৭ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। যেটি তাদের লেখার অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে। এআই কনটেন্ট রিভিউয়ার হওয়া একটি লাভজনক আয়ের উপায় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এআই-পাওয়ারড মার্কেটিং কনসালটিং
এআই টুলস ব্যবহার করে একজন ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্টদের মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করতে পারেন। এটি একটি বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র হিসেবে ভবিষ্যতে আরও বেশি চাহিদা পাবে। মার্কেটিং কনসালটেন্ট হিসেবে ক্লায়েন্টদের অ্যানালিটিক্স বিশ্লেষণ করে টার্গেটেড মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ডিজাইন করবেন। এই ধরনের সেবা দিয়ে একজন কনসালট্যান্ট প্রকল্প ভিত্তিতে বা ঘণ্টা অনুযায়ী ভালো আয় করতে পারবেন। এআই টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার কর্মক্ষেত্রে স্বতন্ত্রতা ও স্বাধীনতা পাবেন।
২০২৫ সালে ফ্রিল্যান্সিং এবং সাইড আয়ের এই নতুন সুযোগগুলো তরুণদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই ধরনের কাজ শুরু করার মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার তাদের ক্যারিয়ারকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:: বাংলাদেশে বেশ কয়েটি প্রতিষ্টানের সাথে কাজ করছে স্টারলিংক।