সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে বাগবিতণ্ডার জেরে সংঘর্ষের পর রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মাইকিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তিন গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্যমতে, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। পুরো এলাকায় এখনো বিরাজ করছে উত্তেজনা।
জানা গেছে, শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকার একটি দোকানে মোবাইল চার্জ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জেরে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়, যা রাত ৯টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এ সংঘর্ষে কয়েকটি দোকান ভাঙচুর হয় এবং গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আজ রবিবার সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে আবারও কোম্পানীগঞ্জ থানা সদর, বর্ণি এবং কাঁঠালবাড়ি গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হন।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে দুপুরে সেনাবাহিনী মোতায়েনের খবর পাওয়া যায়। পুরো এলাকাজুড়ে এখনো উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে এই সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল চার্জ দেওয়ার বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ নিয়ে তিনটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ঘটনার পর আজ আবার উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।