সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানবপাচারের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাছান ইমরান আহমদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড বাতিলের আবেদনসহ জামিনের আবেদন করেছিলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। কিন্তু তা খারিজ করেন আদালত।
এর আগে, রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পল্টন থানায় ৩ সেপ্টেম্বর আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খানের করা মামলায় এই অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, দেশে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট গঠন করে জনশক্তি রপ্তানি খাতে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। এভাবে তারা সংবিধানের মূলনীতির বিরোধী জঘন্য অপরাধ করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের সব গু’ম, খু’ন স’ন্ত্রাসের বিচার হবে – এম এ মালিক
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন তার সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজের ছেলেকে সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে, সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে প্রবাসী নামক একটি অ্যাপস চালুর অবৈধ অনুমোদন দিয়ে এই সিন্ডিকেটকে সহায়তা করেছেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে আদায় করেছে। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।