জাতীয় ডেস্ক:: ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন মামলার ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন :: যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেছেন রূপা হক
মামলায় উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহবুব খন্দকার, র্যাবের সাবেক প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান জিয়াউল হাসান, মতিঝিল বিভাগের সাবেক ডিসি বিপ্লব কুমার সরদার, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ওমর ফারুক, সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর আহমেদ, তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল হক হিরন, ইমরান, আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ পারভীন, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ফরমান আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সালু, মতিঝিলের সাবেক ডিসি নাজমুল আলম, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর মেজর ইকবাল ও আশরাফুজ্জামান।
মামলার বাদী উল্লেখ করেন, ধর্মীয় অবমাননার প্রতিবাদে হেফাজত ইসলাম ১৩ দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো না মানায় ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাত ১১টা থেকে পরবর্তী দিন দুপুর ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিরীহ মাদরাসা ছাত্র এবং পথচারীদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, এ সময় বহু মাদরাসা ছাত্র নিহত হন এবং তাদের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।