বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ পৌর শহরে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মারামারির ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
রাজীব আহমদ নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেটের ৩ নং আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন। বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের বাসিন্দা রাজীব উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পার্থ সারথি দাশের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের জের ধরে বিশ্বনাথ পৌর শহরে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মিছিল বের করেন। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার সাথে সাথে জেলা কমিটির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন মামুনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ প্রথমে মিছিল বের করে।
অপর দিকে, জেলা কমিটির সভাপতি সম্পাদকের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাল্টা মিছিল বের করেন উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পার্থ সারথী দাস পাপ্পু। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তজনা বিরাজ করে। হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সারথী দাস পাপ্পুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পার্থ সারথী দাস পাপ্পুকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন সিরাজুল ইসলাম পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদ রিপন। গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৪০৯।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- উপজেলার শরিষপুর গ্রামের ওয়ারিছ খান’র পুত্র যুবলীগ নেতা রুহেল খান (৩৬), মাসুম (২২), বাচ্চু আহমদের পুত্র মাসুম আহমদ (২১), আমতৈল গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের পুত্র হুমায়ুন আহমদ (৪০), হরিকলস গ্রামের নোয়াব আলীর পুত্র রাজীব আহমদ (২২), বরইগাঁও গ্রামের মনাফ মিয়ার পুত্র আফসর আহমদ শিমুল, দলিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম নাহিদ (২২)।
পরবর্তীতে এই মামলার খবর পেয়ে আদালতে পাল্টা মামলা করেন পার্থ সারথী দাস পাপ্পুর পক্ষের রাজিব আহমদ। তার এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনকে। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হচ্ছেন- উপজেলা যুবলীগ নেতা রাজু আহমদ খান (৩২), ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৯), শামীম আহমদ (৩৫), আবিদুর রহমান (২৬), জাকির হোসনে মামুন (২৭), রিপন মিয়া (২৫), মুহিবুর রহমান সুইট (৩৮), আসলাম মিয়া (২৫), জহির আলী (২৪), কামরান আহমদ (২৫) ও শুভ চন্দ (২৬)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে এখনও আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। সেটি পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।