Search
Close this search box.

বিশ্বনাথের পৌর মেয়র মুহিবকে সতর্ক করল আওয়ামী লীগ

পৌর মেয়র
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটের বিশ্বনাথে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে এমন কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছে পৌর আওয়ামী লীগ।

গতকাল সোমবার (৩১ জুলাই) সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন ও মহব্বত আলী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। অন্যথায়, অন্যথায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার পৌর মেয়রকে বহন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিগত কিছু দিন যাবত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার এবং বিভিন্ন সভা সমাবেশে ইউনিয়ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ন বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে আসছেন মেয়র মুহিবুর রহমান। তার বক্তব্য বিবৃতির কারণে বিশ্বনাথের জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক, আলেম সমাজ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দলছুট, আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী, বহুল আলোচিত দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মেয়র মুহিবুর রহমানের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ উপজেলা ও পৌরবাসীসহ দেশ-বিদেশের মানুষজন। তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে বিতর্কিত রাজনৈতিক জীবন শুরুর পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে আত্মরক্ষার্থে বিগত ২০০৪ সালে মুচলেকা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বির্তকিত আচরনের কারণে এবং ২০০৮ সালে সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নমিনেশন দাখিল ও পরে তা প্রত্যাহার করে নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করেন।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করায় এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মুহিবুর রহমানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। ওই বহিস্কার আদেশ বহাল থাকাবস্থায় এখনও পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানান অপকৌশল করে যাচ্ছেন তিনি। এছাড়া তিনি সকল স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আসছেন। তার বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, তিনি বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন অথবা তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগছেন।

মেয়র মুহিবুর রহমানের এহেন আচরণ স্থানীয় আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে অন্যায় এবং বেআইনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সর্তক করা হয়।-প্রেসবিজ্ঞপ্তি

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত