নিজস্ব প্রতিবেদক :: পুলিশের পরিচয় দিয়ে রিপন আলী (২৮) নামের এক যুবককে অপহরণের ঘটনায় আটককৃত ২জন সহ ৭জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম রিপন আলী নিজে বাদী হয়ে শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১৮।
আটককৃত উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মাশুক মিয়ার পুত্র মারুফ মিয়া ও আশিক মিয়ার পুত্র আফজাল মিয়া’কে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে, অপহরণের মুলহুতা আব্দুল মতিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে হঠাৎ করে তাকে ঝাপটে ধরে মারধর শুরু করে তারই প্রতিবেশী মৃত সহর উল্লাহর পুত্র আব্দুল মতিনসহ ৫/৬জন লোক। এসময় মারুফ মিয়া ও আফজাল মিয়া নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাকে (রিপনকে) ঝাপটে ধরে তার মুখে কস্টিপ লাগিয়ে ও হাত বেঁধে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় (সিলেট-থ ১১-৭১৩৭) উঠায়। এরপর ওই গাড়িটি হাবড়া বাজারের দিকে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা (মারুফ-আফজাল) রিপনকে নাম্বার বিহীন অন্য আরেকটি সিএনজি অটোরিক্সায় উঠায়। এরপর গাড়িটি পুরান হাবড়া বাজার পৌঁছলে রিপন আলী তার হাত ও মুখ বাঁধা থাকায় পা দিয়ে স্বজোরে গাড়িতে লাথি দিতে থাকলে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় স্থানীয় লোকজনদের। এসময় স্থানীয় জনতা অপহৃত রিপন আলীসহ অপহরণকারী মারুফ ও আফজালকে আটক করেন। তখন গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় সিএনজি অটোরিক্সার চালক। ঘটনার খবর পেয়ে মুহুর্তের মধ্যেই এলাকার কয়েক শতাধিক লোক জড়ো হন পুরান হাবড়া বাজারে। এরপর অপহৃত যুবক রিপন আলীসহ আটককৃত দুইজনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন স্থানীয় জনতা।
অপহৃত রিপন আলীর প্রতিবেশী আব্দুল মতিন (৪৫) সম্পর্কে তার (মারুফের) ভগ্নিপতি। কিছুদিন পূর্বে আব্দুল মতিনের বসতঘরে চুরি সংঘটিত হয়। ওই চুরির ঘটনার সাথে রিপন আলী জড়িত থাকার কথা আব্দুল মতিনকে জানান উপজেলার গড়গাঁও গ্রামের ভন্ড পীরাণী। এতে রিপন আলীর উপর ক্ষিপ্ত হন প্রতিবেশী আব্দুল মতিন গংরা। আর চুরি মালামাল উদ্ধার করতে রিপন আলীকে অপহরণের পরিকল্পনা নেন আব্দুল মতিন। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ইফতারি নিয়ে ভগ্নিপতি আব্দুল মতিনের বাড়িতে যান মারুফ ও তার চাচাতো ভাই আফজাল। এসময় সেখানে অবস্থান করে নিজেদের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বে তারা ভগ্নিপতি আব্দুল মতিনের পরিকল্পনায় রিপন আলীকে অপরহণ করতে বাধ্য হয়।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আটককৃত ২জনকে শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।