AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথের গণধর্ষণ মামলার আসামী জাহেদ গ্রেফতার

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ১৬ - ২০১৯ | ১২: ৪৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা সইতে না পেরে সিলেটের বিশ্বনাথে পপি বেগম (১৯) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামী জাহেদ (২২)’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ‌্যাকশন ব‌্যাটালিয়ন-৯। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৯ সিলেটের (মিডিয়া অফিসার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯, সিপিসি-১, সিলেট ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল এএসপি সত্যজিৎ কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তেতলী এলাকা থেকে জাহেদকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে বিশ্বনাথ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে পপি বেগম গত ৯ অক্টোবর দিবাগত রাতে তার বোনের বাড়ি তেতলী চেরাগী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন সকালে সে বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত‌্যা করে। তাকে দাফনের ২দিন পর তার ব‌্যবহৃত ভ‌্যানেটি ব‌্যাগে নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট (সুইসাইড নোট) পায় পরিবার। ওই চিরকুটে পপি উল্লেখ করেছে বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বোনের বাড়িতে অবস্থানকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে সে ঘরের বাহিরে যায়। তখন পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বারিক ও জাহেদ তার (পপির) মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় বাড়ির পাশ্ববর্তী জঙ্গলে। তখন তাদের পায়ে ধরে কান্না কাটি করতে থাকলে বারিক-জাহেদ ও তাদের সহযোগীরা মারধর করে পপিকে পাশবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের পর পপিকে বোনের বাড়িতে (যেখান থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, সেই স্থানে) ফেলে রেখে যায় জাহাঙ্গীর। আর গণধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে সে আত্মহত‌্যা করে। এঘটনায় ৪জনকে আসামী করে গত সোমবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা শুকুর আলী। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই নিহতের ভগ্নিপতি (দুলাভাই) ফয়জুল ইসলাম (২৮)’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাতে মামলার ৩নং আসামী জাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

আরো সংবাদ