মো: আব্দুল হাই :: জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের পর পরেই এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে জয়নগর গ্রামে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় শনিবার সেখান থেকে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে। হত্যা মামলার বাদী আব্দুল জলিল জানান, গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত হলেও জোড়া খুনের সাথে জড়িত আসামীরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে এলাকার নিরীহ জনসাধারনের পাশাপাশি আমি ও আমার আত্মীয় স্বজনদের ভয়ভীতি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের একটি দল জয়নগর গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ২টি হত্যাকান্ড সংঘঠিত হওয়ার পরও হত্যা মামলার আসামী আব্দুল ওয়াহিদ বাদী হয়ে জয়নগর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল ব্যাক্তিত্ব লন্ডনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিনকে জড়িয়ে কাল্পনিক বক্তব্য উল্লেখ করে থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন জয়নগর গ্রামের সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, গত ১১নভেম্বর জয়নগর গ্রামের দবির উদ্দিন ও আব্দুল ওয়াহিদের নেতৃত্বে গ্রামের একদল উচ্ছৃংখল লোক একই গ্রামের লন্ডন প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন গংদের মালিকানাধীন ঘাটিয়া বিল জলমহাল জোর পূর্বক দখলে নিতে চাইলে বাধা দেয়ায় গ্রামের ঈদগাহের পাশে রাস্তায় নির্মম ও নিষ্টুর কায়দায় নজরুল ইসলাম (৩৮) ও মিজানুর রহমান (১৮) কে খুন করা হয়। খুনীদের কবল থেকে নজরুল ও মিজানকে বাচাঁতে আসা লোকজনদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়। এ ঘটনায় আব্দুল জলিল বাদী হয়ে দবির উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১শ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর পুলিশ ৭জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।