প্রবাসজীবনের দূরত্ব ঘোচাতে ভরসা ছিল ভিডিওকল। তবে সেই ভিডিওকলই সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার একটি পরিবারের জন্য রয়ে গেল আজীবনের বেদনাবিধুর স্মৃতি।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে দেশের বাড়িতে থাকা তাঁর বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছিলেন। ওমানের সালালাহ শহরে অবস্থানরত বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মতিন (৫০) । কথা বলার একপর্যায়ে হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি । বারবার বুকের দিকে তার হাত দিয়ে ইশারা করলেও যন্ত্রণার কারণে কথা বলতে পারছিলেন না।
ভিডিওকলের অপর প্রান্তে থাকা মা ও স্ত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে হাজার মাইল দূরে অবস্থানের কারণে তাঁরা কোনো ধরনের তাৎক্ষণিক সহায়তা করতে পারেননি। পরিবারের সদস্যরা ভিডিওকলেই তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সংযোগ চালু থাকা অবস্থায়ই আব্দুল মতিন নিথর হয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
রোববার দুপুরে নিহতের ছেলে সাব্বির আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাঁর পিতা ওমানের সালালাহ শহরের সাদী এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি তাঁর কফিলের (নিয়োগকর্তা) একটি ভবন ও একটি মাদ্রাসা দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের জনক।
আব্দুল মতিনের আকস্মিক মৃত্যুতে নিহালের নোয়াগাঁও গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাঁর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরোও পড়ুন:: বিশ্বনাথে দিনদুপুরে সাংবাদিকের ভাইয়ের বসতঘরে চুরি।





