শেষ সময়ে বিশ্বনাথে জমে উঠেছে পশুর হাট, চলছে বিক্রি-বাট্টা

Ayas-ali-Advertise
শেষ সময়ে বিশ্বনাথে জমে উঠেছে পশুর হাট, চলছে বিক্রি-বাট্টা
বিশ্বনাথ পুরান বাজারের গুরুর হাটের একাংশ।
শেষ সময়ে বিশ্বনাথে জমে উঠেছে পশুর হাট, চলছে বিক্রি-বাট্টা
বিশ্বনাথ পুরান বাজারের গুরুর হাটের একাংশ।
Facebook
Twitter
WhatsApp

দুই দিন পরই ঈদ। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পশুর হাটগুলোতে কেনাবেচা। বড়পুর বাজারসহ বিভিন্ন হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে পরিবেশ। চলছে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গরু-ছাগলের দরদাম ও বিক্রি-বাট্টা।

চলতি কোরবানির মৌসুমে ছোট আকৃতির গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও হাটে রয়েছে গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ। দামও রয়েছে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে।

বুধবার (বোধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বিশ্বনাথ পুরান বাজারে রয়েছে বিপুল পরিমাণ পশু ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ক্রেতা। হাটের সার্বিক পরিবেশ ছিল গোছানো ও সরব। বেচাকেনা ও দরদাম চলার পাশাপাশি হাট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিতরা নিয়েছেন সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে নানামুখী উদ্যোগ।

বাজারের ইজারাদার বশির আহমদ বলেন, “বিশ্বনাথ পশুর হাট সমিতির মাধ্যমে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। জনগণের কথা বিবেচনায় পশুপ্রতি হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।”

গরু বিক্রেতা রুমন বলেন, “আগের তুলনায় আজকের বাজারে গরুর বিক্রি অনেক ভালো। দামও মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে রয়েছে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই সব গরু বিক্রি করতে পারব।”

অন্য এক বিক্রেতা জিলু মিয়া বলেন, “বাজারের পরিস্থিতি সন্তোষজনক। বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। ছোট গরু ৫০–৬০ হাজার, মাঝারি গরু ৬৫–৭০ হাজার এবং বড় গরু ১ লাখ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।”

ক্রেতা আব্দুল বারী জানান, “আমি ১ লাখ ৫ হাজার টাকায় একটি বড় গরু কিনেছি। বাজারের দাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।”

বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস শহীদ হোসেন বলেন, “কোরবানির হাটে ব্যবসায়ী ও খামারিদের নির্বিঘ্ন বেচাকেনা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চারটি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে।”

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪