দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান- শুরু হয়েছে সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথে সংস্কারকাজ

Ayas-ali-Advertise
সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ
সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ।
সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ
সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ।
Facebook
Twitter
WhatsApp

দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঘটতে চলেছে অবসান। অবশেষে শুরু হয়েছে সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথের সংস্কারকাজ। আবারও এই লাইনে ছুটে চলবে ট্রেন, শোনা যাবে সেই চেনা ঝকঝক শব্দ আর পরিচিত হুইসেলের ধ্বনি। ট্রেনযাত্রা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ফিরে এসেছে আশার আলো।

সরেজমিনে গিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের প্রীতিগঞ্জ বাজার এলাকায় দেখা গেছে, পুরোদমে চলছে সংস্কারকাজ। পুরনো রেললাইন অপসারণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পের আওতায় ছাতক থেকে খাজাঞ্চী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার রেললাইন ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার দ্বিতীয় ধাপে প্রবল পানির তোড়ে রেললাইনের বহুস্থানে স্লিপারের নিচের মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয় বড় গর্ত। এতে উপড়ে পড়ে রেললাইন।

এর আগে করোনাকালে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় এই রুটে। পরবর্তীতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ফলে রেলপথটি দীর্ঘ সময় অচল অবস্থায় পড়ে থাকে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিলেট-বিশ্বনাথ-ছাতক রেলপথের ৩৪ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ১৮ মাস। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে ‘মীর আকতার হোসেন লিমিটেড’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার পুরাতন লাইন তুলে ফেলা হয়েছে। নতুন লাইন বসানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছাতক রেলস্টেশনের পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে রেললাইনের কংক্রিট স্লিপার। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আখলুছ আলী বলেন, “দীর্ঘদিন রেলপথ বন্ধ থাকার পর আবারও চালুর জন্য কাজ শুরু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। তবে আমাদের প্রীতিগঞ্জ বাজার এলাকায় একটি রেলক্রসিং সিগন্যাল দিলে আমরা উপকৃত হব।”

ব্যবসায়ী আরশ আলী বলেন, “আমাদের এ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ সবজি চাষ করে। তাই রেলপথটি আবার চালু হলে আমরা সহজে এবং কম খরচে মালামাল নিয়ে সিলেটে যাতায়াত করতে পারব। তবে আমাদের এখানে একটি রেলক্রসিং সিগন্যাল দিলে অনেক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “আমরা ৩৪ কিলোমিটার রেলপথের ১৮ কিলোমিটার অংশের পুরনো লাইন অপসারণ করেছি। আশা করছি, ১৮ মাসের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে রেললাইনটি পুনরায় চালু করতে পারব।”

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪