জুমার দিনে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে উচিত

Ayas-ali-Advertise
জুমার দিনে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে উচিত
জুমার দিনে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে উচিত
জুমার দিনে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে উচিত
জুমার দিনে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে উচিত
Facebook
Twitter
WhatsApp

প্রতিটি মুসলমানের জন্য জুমার নামাজ শুধু একটি ইবাদত নয়, বরং এটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে এই নামাজের বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতের কথা বারবার উঠে এসেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকেই এই নামাজ আদায়ের সময় কিছু সাধারণ ভুল করে থাকেন, যা ইবাদতের গুণমানকে প্রভাবিত করে।

নিচে জুমার নামাজের সময় সচরাচর পাঁচটি ভুল এবং তা থেকে পরিত্রাণের উপায় তুলে ধরা হলো—

১. গোসল ছাড়া জুমায় অংশগ্রহণ
অনেকে জুমার দিনে কাজের চাপে না গা ধুয়েই মসজিদে চলে যান। অথচ হাদিসে এসেছে, জুমার দিন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের গোসল করা আবশ্যক, মিসওয়াক করা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করাও উচিত।” (সহিহ বুখারি: ৮৮০; সহিহ মুসলিম: ৮৪৬)। তাই জুমার আগে গোসল, পরিষ্কার পোশাক ও ভালো গন্ধ ব্যবহার করে মসজিদে যাওয়া উচিত।

২. দেরি করে মসজিদে যাওয়া
শুধু ফরজ নামাজ আদায় করলেই জুমার পূর্ণতা আসে না। খুতবা শোনাও এই নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে যত আগে মসজিদে আসে তার জন্য তত বেশি সওয়াব রয়েছে।” প্রথম পর্যায়ে আসা ব্যক্তির জন্য একটি উট কোরবানি করার সমান সওয়াব এরপর গাভী তারপর শিংওয়ালা ভেড়া এরপর মুরগি এবং সর্বশেষ ডিমের সমপরিমাণ সওয়াব (সহিহ বুখারি: ৮৮১)। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়া উচিত।

৩. আজানের পরও দুনিয়াবি কাজে লিপ্ত থাকা
জুমার প্রথম আজান দেওয়ার পর ব্যবসা বা অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা ইসলামের নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, “হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিনের নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়। তখন আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো…” (সূরা জুমা: ৯)। সাহাবিদের যুগেও মানুষ কাজের মধ্যেই মসজিদে যেতেন তখন তাদের গোসল করার গুরুত্বও তুলে ধরা হয় (সহিহ বুখারি: ৯০৩; সহিহ মুসলিম: ৮৪৭)।

৪. খুতবা শোনায় মনোযোগের অভাব
অনেক সময় মসজিদে ভিড়ের কারণে বা অন্যান্য কারণে খুতবা শোনা কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও এ সময় চুপ থাকা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে এবং জুমার নামাজ আদায় করে তার আগের জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত এবং আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” (সহিহ মুসলিম: ১৮৭৩)। সুতরাং আরবি এবং বাংলা উভয় খুতবায় পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

৫. খুতবার সময় কথা বলা
অনেকে খুতবার সময় পাশের জনকে কিছু বলে ফেলেন বা কেউ কথা বললে চুপ করতে বলেন। অথচ হাদিসে আছে খুতবার সময় কাউকে ‘চুপ থাকো’ বলাও অনর্থক কথার অন্তর্ভুক্ত। রাসুল (সা.) বলেন “যখন ইমাম খুতবা দিচ্ছেন তখন কেউ যদি পাশের জনকে চুপ থাকতে বলে তবে সে একটি অনর্থক কথা বলেছে।” (সহিহ বুখারি: ৯৩৪; সহিহ মুসলিম: ৮৫১)।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪