মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। অন্যটি হলো ঈদুল আজহা। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একে ‘ইয়াওমুল জায়েজ’ (অর্থ: পুরস্কারের দিবস) হিসেবেও বলা হয়। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও সামর্থ্যবানদের ফিতরা-যাকাত আদায়ের পর মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনের পাশাপাশি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করে।
ঈদের দিনের প্রধান আমল হলো নামাজ। এটি শুরু হয় দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মাধ্যমে। তবে অন্যান্য ফরজ নামাজের মতো ঈদের নামাজও ছুটে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কী?
যদি কেউ ঈদের নামাজের প্রথম রাকাতে ইমামের কেরাত চলাকালীন নামাজে শরিক হন । তবে তাকবিরে তাহরিমার পর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন এবং ইমামের অনুসরণ করবেন (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক: ৫৭১৪)।
কেউ যদি ইমামকে রুকু অবস্থায় পান এবং মনে করেন তাকবিরগুলো বলে রুকুতে পৌঁছানো সম্ভব। তবে তাকবিরগুলো বলেই রুকুতে যাবেন। কিন্তু যদি মনে হয় তাকবির বললে রুকুতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে তাকবিরে তাহরিমা বলেই সরাসরি রুকুতে যাবেন এবং রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবেন (আলবাহরুর রায়েক: ১/১৬১)।
কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সঙ্গে নামাজে শরিক হন। তবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বেন এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩)।
যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহুদের পর জামাতে শরিক হন। তবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সূরা কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। এরপর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবেন (ফাতাওয়া খানিয়া: ১/১৮৫)।
আরও পড়ুন:: যে কারণে ফিরাউনের স্ত্রী হয়েও স্থান পেলেন জান্নাতে।