এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের একাংশ পরীক্ষার তারিখ পেছানো এবং পরীক্ষার মধ্যে বেশি বিরতির দাবি তুলেছে। তবে শিক্ষা বোর্ড তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় আগামী ১০ এপ্রিল থেকেই নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন পরীক্ষা পেছানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজব নিয়ে সতর্ক থাকতে এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির দিকে মনোযোগী হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ‘এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫’ নামে একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে দুটি দাবি জানানো হয়েছে। তাদের প্রথম দাবি রমজান ও ঈদের ছুটির পর পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় না পাওয়ায় পরীক্ষা এক মাস পেছানো হোক। দ্বিতীয় দাবিতে এপ্রিল-মে মাসের তীব্র গরম মোকাবিলায় প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে ৩-৪ দিনের বিরতি চাওয়া হয়েছে। গ্রুপটির বক্তব্য অনুযায়ী, রোজা ও ঈদের ব্যস্ততার পর ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি এবং তীব্র গরমে টানা পরীক্ষা দেওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে, মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে এবং সব বোর্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে ২২ মে পর্যন্ত। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গুজব এড়িয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানা গেছে।