সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী। একইসঙ্গে তিনি এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করেন।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর বালুচর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপির উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, পেশাজীবী, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব আলোচনা হয়।
ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখনো কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আন্দোলনের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে টাইমফ্রেম ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যেকোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। যাদের বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বহালের চেষ্টা করবে তাদের কঠোর হাতে প্রতিহত করা হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনকে আরও বেগবান করব।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্টসহ বিভিন্ন মহলের চাপ প্রয়োগের বিষয়ে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত হয়নি। এটি সম্পূর্ণ শিষ্টাচারবহির্ভূত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে না। যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তারা মূলত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।’
এদিকে, ইফতার মাহফিলে এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সংবাদকর্মীরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে কিছু নেতাকর্মী তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ইফতার অনুষ্ঠান বয়কট করেন এবং চলে যান।
এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষের পর এনসিপির আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:: সিলেটসহ সারা দেশে দুর্যোগের শঙ্কা, ঝড়-বজ্রপাতে ঘটতে পারে প্রাণহানি।