খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সাথে একাধিকবার আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা বলেছি এজেন্ডা কমাতে। এত আলোচ্য কার্যসূচি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার দায়িত্ব পালন করতে পারে না। এটার নামই হচ্ছে অন্তর্ববর্তীকালিন সরকার। একটি ক্ষণস্থায়ী গভর্মেন্ট। এই সরকারের অন্যতম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া। এর বাহিরে এজেন্ডা বাড়ালে কিন্তু আপনারাও বেকায়দায় পড়বেন। বিগত দিনের নির্বাচনে যারা দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, সেই সকল জায়গায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই হবে আপনাদের জননন্দিত কাজ। কারণ, বাংলাদেশের জনগণ পেটে-ভাতে যদি সুখে না থাকে তাহলে আপনিও সুখে থাকতে পারবেন না। একটি রাজনৈতিক দল বিপদে পড়লে জনগণের কাছে লুকাতে পারে। কিন্তু, যারা অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের দায়িত্বে আছেন আপনারাদের তো লুকানোর জায়গা বিদেশ ছাড়া দেশেতো খুব একটা নাই। সুতরাং, অযথা সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপন না করে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সংস্কার করে আপনারা দ্রুত নির্বাচন দেন। এটা খেলাফত মজলিস পরিস্কার করে বলতেছি।’
বক্তব্যে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘রাস্তাঘাটে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়েছে। মানুষ ঘরে নিরাপদ নয়। এখন মানুষ ডাকাতের ভয়ে ঘরের বাহিরে দরজায় দাড়িয়ে পাহারা দিতে হয়। এটাতো কোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হতে পারে না। এছাড়া, কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে রাতে ধরে নিয়ে আসা হয় এবং টাকা দিলে ছেড়ে দেয়া হয়। টাকা না দিলে অজ্ঞাতনামা আসামি বলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু, যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে ধরা হচ্ছে না। প্রত্যেকটা গুম, খুন, লুটপাট ও দুর্নীতির বিচার আমরা চাই। কিন্তু, একটা নিরপরাধ মানুষের হয়রানি আমরা প্রত্যাশা করি না।’
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা খেলাফত মজলিসের কর্মী সমাবেশ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বনাথ পৌরশহরের নতুন বাজারের প্রবাসী চত্বর সংলগ্ন মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল হকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় খেলাফত মজলিসের উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মজলিসের সভাপতি ও সমন্বয়ক সাকিব মাহমুদ রুমী, খেলাফত মজলিস নেতা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম, জেদ্দা খেলাফত মজলিসের সহসভাপতি আব্দুল মুকিত আজাদ, সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা অলিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সৈয়দুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাবেক সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, উপজেলা ছাত্র মজলিসের সভাপতি আল আমিন, খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা আবুল খায়ের জালালাবাদি, হাফেজ মাওলানা শরীফ উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন:: বিশ্বনাথে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা।