৫ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় ভাংচুর-লুটপাট, ৬ মাস পর মামলা

Ayas-ali-Advertise
৫ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় ভাংচুর-লুটপাট, ৬ মাস পর মামলা
ফাইল ছবি।
৫ আগস্ট বিশ্বনাথ থানায় ভাংচুর-লুটপাট, ৬ মাস পর মামলা
ফাইল ছবি।
Facebook
Twitter
WhatsApp

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার ৬ মাস পর আড়াই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি (নাম্বার ৩) দায়ের করেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ওইদিন উশৃঙ্খল দুস্কৃতিকারীরা থানায় প্রবেশ করে সরকারি ডাবল কেবিন গাড়ী ভাংচুর ও তাতে অগ্নি সংযোগ করে এবং ১টি সরকারি লেগুনা সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ, ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষ, ডিউটি অফিসার ও কম্পিউটার রুমে রক্ষিত ৪টি কম্পিউটার, ২টি প্রিন্টার, ৪টি ইউপিএস, ৪টি কম্পিউটার টেবিল ভাংচুর করে। এছাড়া, ওয়ারলেস অপারেটরের অফিস কক্ষে থাকা ২টি ওয়াকিটকি মোটরওয়ালা সেট ও ৪টি ব্যাটারি, অফিসার-ফোর্সদের ব্যবহৃত সরকারি-ব্যক্তিগত মালামাল এবং ব্যারাকে থাকা পুলিশ সদস্যদের ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র, খাবারের চাল, ডাল, মাছ, মাংস লুট করে নিয়ে যায়।

অফিসার ও ফোর্সদের ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলের মধ্যে ১২টিতে অগ্নি সংযোগ করে। ভাংচুর করে আরও ১০টি মোটর সাইকেল। থানায় জব্দ থাকা টিউবওয়েল, লোহার তৈরী বডি যান, হাইয়েচ, টাটা সিঙ্গেল কেবিন পিকআপ ভাংচুর করে এবং ভারতীয় চিনিসহ ওই জব্দ থাকা জিনিস লুট করে তারা। সবমিলিয়ে যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা।

এছাড়াও, দুস্কৃতিকারীরা থানার ভিতরে হামলা চালিয়ে কনস্টেবলদের কাছে থাকা ৪টি শর্টগান, ১২ বোর রাবার (শর্টগান) কার্তুজ ৫৫টি, ১২ বোর লিড বোর শর্টগানের শিসা ৫০টি, গ্যাসগান ৩৮ এমএম টিআর গ্যাসশেল (শর্টরেঞ্জ) ১০টি এবং ৭.৬২ এমএম চায়না রাইফেলের গুলি ৫ রাউন্ড, হ্যাভারসেকি ৪টি, এ্যামোনেশন ভেস্ট ২টি, গ্যাস মাস্ক ২টি, বান্ডুলিয়ার ৮টি জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি তারা ৪টি চায়না ৭.৬২ রাইফেলের বাট-ম্যাগাজিন ও ১টি শর্টগানের জয়েন্ট ভেঙ্গে ফেলে। ভেঙ্গে ফেলা ও লুণ্ঠিত অস্ত্র-গুলির মূল্য তালিকা না থাকায় লুণ্ঠিত অস্ত্র-গুলির মূল্য এজাহারে উল্লেখ করতে পারেননি বাদী।

থানার বিভিন্ন স্টোররুমে জমা থাকা পুলিশ অফিস স্টক ও রিজার্ভ অফিস স্টকের ইস্যু করা মালামালের মধ্যে আসামির রশি ২৮টি, রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ৪৩টি, ট্যানেল ১টি, রিচার্জেবল টর্চ লাইট ১২ টি, সাসপেনশন এ্যালুমিনিয়াম ১টি, পুলিশ ব্যাটন ৫২টি, ডেকসি ১টি, হেভি ডিউটি টর্চ লাইট ৪টি, বেতের লাটি ৫৯টি, পলিকার্বনেট ঢাল ২টি, হেলমেট ২৮টি, লেগ গার্ড ৩০টি, হাতকড়া ১৪ জোড়া, ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট ৯টি, এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন ৭টি, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ৩৭টি দুস্কৃতিকারীরা লুট করে নিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর মিয়া বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদেরকে শনাক্তের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪