ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব কাটতে না কাটতেই আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি নভেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগরে নতুন এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এ মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঘনকুয়াশারও প্রভাব থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস কমিটি রোববার (৩ নভেম্বর) এই পূর্বাভাস দিয়েছে। ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের পরিচালক ও পূর্বাভাস কমিটির চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল আলম জানান, দেশে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে বলে ধারণা করা হলেও তা স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।
চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২০৮ মিলিমিটার, বরিশালে ২৮৬, ময়মনসিংহে ২৮৫, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০২, রাজশাহীতে ১৬০, রংপুরে ১২৬, এবং খুলনায় ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নভেম্বর মাসে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২ দশমিক ৫০ থেকে ৪ দশমিক ৫০ মিলিমিটার এবং গড় উজ্জ্বল সূর্যকিরণের সময়কাল সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সোনার দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লা’খ ৪৩ হাজার ছা’ড়লো
গত অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল যার মধ্যে একটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়। এছাড়া মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে ওই মাসে দেশের কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতও হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই দিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।