সিলেটের বিশ্বনাথে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বরাদ্দকৃত নলকূপ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েছেন তার পরিষদের ১১ জন সদস্য। বৃহষ্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ২টায় তারা এই অভিযোগ দেন।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ২ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনডিপি’র ১৫টি নলকূপ বরাদ্দ আসে। বিষয়টি পরিষদের কোন সদস্যদের অবগত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সদস্যদের কারো সাথে আলোচনা না করে ভূয়া রেজুলেশন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান চেয়ারম্যান। অভিযোগপত্রে ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী’ও জানান সদস্যরা।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর চেয়ারম্যান আরশ আলীর বিরুদ্ধে নলকূপ বরাদ্দে অনিয়মের আরেকটি অভিযোগ ইউএনও বরাবরে দেন উপজেলার জয়নগর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেন। তার অভিযোগ, প্রকৃত সুবিধাবঞ্চিতদের না দিয়ে, চেয়ারম্যান আরশ আলী স্বচ্ছল ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী, প্রবাসী, শিক্ষক ও প্রভাবশালীদের অত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে নলকূপ বরাদ্দ দিয়েছেন।
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য মো. বখতিয়ার আহমদ বলেন, পরিষদের বরাদ্দ এলে সভা আহ্বান করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে রেজুলেশন করে তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু, এবার নলকূপ বরাদ্দের ক্ষেত্রে এসব কিছুই করা হয়নি। কাউকে না জানিয়ে কেন ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান এমনটা করলেন, তা আমাদের জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আমরা ইউএনও বরাবরে লিখিত দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত কোন অভিযোগই সত্য নয়। রেজুলেশনে সবারই স্বাক্ষর রয়েছে। তদন্তে তা প্রমাণিত হবে। নিয়ম মেনেই নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সঠিক না পেলে বাতিলের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে আলিয়া মাদাসায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২০
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায় বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। সে আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নেয়া হবে। ইতোমধ্যে, নলকূপ বরাদ্দের সব তালিকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা যাচাইবাচাই করছেন। তদন্তে যেগুলোতে নলকূপ বরাদ্দের শর্তের ব্যত্যয় হবে, সেগুলো বাতিল করা হবে।’