Search
Close this search box.

এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত গেল ৪১১ টন ইলিশ

এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত গেল ৪১১ টন ইলিশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত গেল ৪১১ টন ইলিশ । ছবি সংগৃহীত
এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত গেল ৪১১ টন ইলিশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত গেল ৪১১ টন ইলিশ । ছবি সংগৃহীত
Facebook
Twitter
WhatsApp

বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ১৩১টি ট্রাকে মোট ৪১১ টন ৩০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) ১৩টি ট্রাকে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।

তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ৩০টি ট্রাকে ৯২ টন, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ টন ৬৪০ কেজি, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৩০টি ট্রাকে ৮৯ টন, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ছয়টি ট্রাকে ১৯ টন এবং শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১৫টি ট্রাকে ৪৫ টন ২০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।

তবে ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি নিয়ে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দেশের বাজারে এক কেজি ইলিশ ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে তা রপ্তানি হচ্ছে ১২০০ টাকায়—এই বিষয়টি নিয়ে জনমনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেছে ওই দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না।

এদিকে, ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভারতে রপ্তানির কারণে দেশের আড়তগুলোতে ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে এবং যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে ছোট ইলিশ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় এবং বড় ইলিশ ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে মোট ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ টন করে এবং একজনকে ২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ১২ অক্টোবরের মধ্যে এই রপ্তানি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের যে সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

বেনাপোলের ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের ম্যানেজার রকি মাহামুদ জানিয়েছেন, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রজনন মৌসুমের কারণে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়ানো না হলে অনুমোদিত পরিমাণ ইলিশ সম্পূর্ণ রপ্তানি করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ ৫০০ থেকে ৭০০ টন ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হতে পারে।

বেনাপোল মৎস্য অফিসের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, বিশেষ অনুমতির আওতায় ইলিশ রপ্তানি শুরু হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ