সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসু সহসভাপতি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নূরের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় কুমার বিশ্বাস ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষও একই আবেদনে সমর্থন জানায়। তবে আসামীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না এবং তিনি নিজেই আদালতে বক্তব্য দেন। আদালতে সুলতান মনসুর বলেন “২০০৮ সাল থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের কোনো পদে রাখেননি। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের পক্ষে আমি সংসদে কথা বলেছিলাম। আমি কোনো অন্যায় কাজে যুক্ত নই বলেই স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছি। কে বা কারা আমাকে ষড়যন্ত্রে ফাঁসিয়েছে জানি না।” শুনানি শেষে আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এর আগে গত বোরবার ভোরে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পলিশ। পরে পল্টন থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি ছিলেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পেলেও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এম এম শাহীনের কাছে পরাজিত হন।
আরও পড়ুন: প্রত্যাহার করা হচ্ছে সাইবার আইনের মামলা, গ্রেপ্তাররা পাচ্ছেন মুক্তি
এক-এগারোর পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুলতান মনসুরের সম্পর্ক দূরে সরে যায় এবং তিনি দলের প্রভাব থেকে বাদ পড়ে যান। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের (গণফোরাম) প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। তবে ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি।