Search
Close this search box.

যে গুরুত্বপূর্ণ আমলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

রিজিক বৃদ্ধি পায়
প্রতীকি ছবি
রিজিক বৃদ্ধি পায়
প্রতীকি ছবি
Facebook
Twitter
WhatsApp

রিজিকের বৃদ্ধি বা আয়-উপার্জনে বরকত কামনা করেন না, এমন একজন মানুষও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রত্যেকেই চান যে তাদের রিজিক বৃদ্ধি পাক এবং আয়-উপার্জনে বরকত আসুক। রিজিক নির্ধারিত থাকলেও, তা বাড়ানোর সম্ভাবনা একেবারে নেই, এমনটি নয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এমন বহু আমলের কথা উল্লেখ আছে, যার মাধ্যমে রিজিকে সমৃদ্ধি আনা যেতে পারে।

তওবা-ইস্তিগফার করা: তওবা-ইস্তিগফার করার মাধ্যমে মানুষের রিজিক বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, “আমি তাদের বলেছি, নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততিতে উন্নতি দান করবেন এবং তোমাদের বাগবাগিচা এবং নদীনালা দান করবেন।” (সুরা নুহ, আয়াত: ১০-১২; সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত: ৮২)

আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা: রিজিক বৃদ্ধির জন্য তাকওয়া অবলম্বন করা এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ বলেন, “আর যে আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করবে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ বের করে দেবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দান করবেন, যার কল্পনাও সে করতে পারবে না।” (সুরা সাদ, আয়াত: ৩৫)

নামাজ আদায় ও ইবাদতের জন্য সময় বরাদ্দ করা: সময়মতো দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে রিজিক বাড়ে। কাজ ও ব্যবসার মাঝে নামাজকে প্রাধান্য দিতে হবে, সময়মত নামাজ আদায় করতে হবে। আল্লাহ বলেন, “আপনি পরিবারকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও অটল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো রিজিক চাই না। আমিই আপনাকে রিজিক দিই। আর মুত্তাকিদের জন্যই শুভ পরিণাম।” (সুরা ত্বহা, আয়াত: ১৩২)

আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা রিজিক বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করতে এবং তাঁদের হক যথাযথভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সুরা নিসা, আয়াত: ৩৬; সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৬)

আরও পড়ুন :: অপার্থিব প্রেমের বসন্তকাল মাহে রামাযান : হাসান বিন ফাহিম

হজ-ওমরাহ পালন: বারবার হজ ও ওমরাহ পালন করলে রিজিক বাড়ে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা লাগাতার হজ ও ওমরাহ পালন করতে থাকো। কারণ, এর দ্বারা এমনভাবে অভাব ও গুনাহ দূরীভূত হয়, যেমনভাবে কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়।” (তিরমিজি, হাদিস: ৮১০; নাসায়ি, হাদিস: ২,৬৩১)

হিজরত করা: আল্লাহর পথে হিজরত করা ও জিহাদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে রিজিকে বরকত আসে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “আর যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় হিজরত করবে; জমিনে সে বহু আশ্রয়স্থল ও সচ্ছলতা পাবে।” (সুরা নিসা, আয়াত: ১০০)

লেখক : ফেরদৌস ফয়সাল

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪